গানের জন্যই দিনটি

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২১ জুন, ২০২৩ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

আনন্দের সময় হোক কিংবা মন খারাপের সময়; সঙ্গীত মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে গানের চেয়ে ভালো দাওয়াই আর নেই। সত্যিই তাই। বিশেষজ্ঞরাও মিউজিক থেরাপিকে মান্যতা দিয়েছেন। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কমাতে গান দারুণ উপকারী। গান শুনলে ঘুমও ভালো হয়। মানসিক রোগ সারানোর জন্য চিকিৎসকগণ গানের সাহায্য নেন। অনেক সময় এমন হয় যে, পুরনো কোনও গান ভালো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। খারাপটাও মনে করায়। কিন্তু গান সব সময়ই ভালো বন্ধুর মতো পাশে থাকতে পারে। গান শিশুদের স্মৃতিশক্তিও শক্ত করে, মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে অবশ্য গানের জন্য আলাদা কোনও দিন বা সময় নেই। গান ২৪ ঘণ্টার, ৩৬৫ দিনের। তবে বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট একটি দিন রয়েছে। গানের জন্যই বিশেষ দিবস এই বিশ্ব সংগীত দিবস। চলতে চলতে গুনগুন করে কে না গান গেয়ে উঠেন? সঙ্গীতের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এখন চিকিৎসাও করা হয়। সারা বিশ্বেই নানা ভাষায় সমানতালে চলছে সঙ্গীতের চর্চা। আজ বিশ্বের সকল সঙ্গীতপ্রেমীর জন্যই বিশেষ একটি দিন। আজ সঙ্গীত দিবস। অনেক বছর ধরেই এই দিনে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ফ্রান্স। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে ‘ফেত দ্য লা মিউজিক’ বা ‘মেক মিউজিক ডে’ নামে একটি দিনের উদযাপন শুরু করা হয়।

সঙ্গীতের কোনও ধর্ম নেই, কোনও জাত নেই, রং নেই। তার নিজস্বতা আর স্বকীয়তা এতটাই প্রবল যে, সেটা কোনো বিশেষ ভাষার কাছেও সীমাবদ্ধ হয়ে থাকেনি। অর্থাৎ কোনো কাঁটাতারের বেড়া সঙ্গীতকে বাধা দিতে পারে না। তাই সঙ্গীতজ্ঞ বব ডিলান কিংবা জিম মরিসনের সঙ্গীত যেমন এদেশের মানুষের মন ছুঁয়েছে, তেমনি আমাদের লালনের গানও পৌঁছে গেছে বিশ্বের দরবারে। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় শাস্ত্র ও ধর্মীয় সঙ্গীতকে আশ্রয় করে বাংলা সঙ্গীত প্রসারিত হচ্ছে। আমাদের জারি, সারি, বাউলগান, রবীন্দ্র বা নজরুলগীতির মতো সমৃদ্ধ সঙ্গীতের আকর বাংলা সঙ্গীতকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। আধুনিক গানের ব্যাপক চর্চা সেই সঙ্গীতের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গীতের হাত ধরে মেলবন্ধন ঘটে মনের। গানবাজনার ছুতোই হোক বা অজানার খোঁজ, বিশ্ব সংগীত দিবস সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বকে এক করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ভোট আজ
পরবর্তী নিবন্ধআর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের সুদহার ঠিক করে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক