গাড়ি আমদানি সহজ করতে ঋণপত্র খোলার সময় শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন সংরক্ষণের কোনো নির্ধারিত সীমা রাখা হয়নি। তার বদলে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কী পরিমাণ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে তা নির্ধারিত হবে গ্রাহক ও ব্যাংকের সম্পর্কের ভিত্তিতে।
আর অন্যান্য মোটরকার, যেমন সেডান, এসইউভি ও এমভিপির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে, যা আগে ১০০ শতাংশ ছিল। নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নতুন এই নির্দেশনা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের এক সার্কুলারে বলা হয়, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ এদেশে এই ধরনের পরিবহন কার্বন নিঃসরণ কমানো ও বায়ুর গুণমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তাই সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকারের আমদানির ঋণপত্রের ক্ষেত্রে ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হল।
আমদানি নিরুৎসাহিত করতে গত ৫ সেপ্টেম্বরের এক সার্কুলারে গাড়ি আমদানির ঋণপত্রে শতভাগ মার্জিন রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবারের সার্কুলারে তা কমিয়ে আনা হল। এর আগে গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার সীমাও কিছুটা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ডলার বাজার আগের চেয়ে স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় রিজার্ভও ঊর্ধ্বমুখী। তাই আগের দেওয়া বিধিনিষেধ অনেকটা শিথিল করা হচ্ছে।