গাজীপুরের বিজিবির সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সফিপুর আনসার একাডেমি ও মহানগরীর বাসন থানায় হামলার আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় ও বাংলাদেশ ফিলিং স্টেশন এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমি ও বাসন থানায় এসব ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি বাসে করে ঢাকায় আসছিলেন। দুটি বাসে ৮০ জন সদস্য ছিলেন। বাসগুলো মহাসড়কের মাওনার মুলাইদ এলাকার বাংলাদেশ ফিলিং স্টেশনের সামনে এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারী ছাত্র ও জনতা তাদের গাড়ি আটকে দেয়। সেখানে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিতে ছয়জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। বিজিবি সদস্যদের অবরুদ্ধ থাকার খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
মাওনা চৌরাস্তার আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাঁচজনের মরদেহ এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। এ ছাড়া অপর দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এছাড়া একজনের মরদেহ মাওনা এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ২২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জারিন ফারা বলেন, বিকালের দিকে চারজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। অপরদিকে বিকালে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়ে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে ফটক ও ভেতরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। এ সময় আনাসার সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়ে। গুলিতে দুইজন নিহত ও বেশকিছু লোক আহত হয়েছেন। আর সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় হামলা–অগ্নিসংযোগ করতে গেলে পুলিশের গুলিতে আরও এক যুবকের মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।