গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের নিয়ে একটি মন্তব্যের অডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজ শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিডিনিউজ
বৈঠকে উপস্থিত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছে।”
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে মেয়র জাহাঙ্গীরের একটি মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাকে।
দল থেকে তাকে জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয় সেই সময়।
এই প্রেক্ষাপটে দলীয় ‘স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৩ অক্টেবর জাহাঙ্গীরকে নোটিস দেয় আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর সেই সময় বলেছিলেন, “একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও বের করেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, এমনকি কিছু গণমাধ্যমও প্রকাশ করেছে।”
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল জাহাঙ্গীরকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
তবে দল যে তাকে বহিষ্কার করতে যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ওবায়দুল কাদেরের কথাতেই তার আভাস মিলেছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শুক্রবারের কার্যনির্বাহী সভায় জাহাঙ্গীরের বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত আসতে পারে’।