গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী ঐক্য সরকার গড়তে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের হামাস এবং ফাতাহসহ ১৪টি দল। চীনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়ে ১৪ দল মঙ্গলবার বেইজিংয়ে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই করেছে। চীনের সঙ্গে ফিলিস্তিনি দলগুলোর নেতারা রাজধানী বেইজিংয়ে বৈঠক করেন। খবর বিডিনিউজের।
গত এপ্রিলে বেইজিংয়ে আয়োজিত একটি বৈঠকে ঐক্য সরকার গড়ার বিষয়টি নিয়ে এক দফা বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর গত রোববার থেকে চীনের উদ্যোগে আরেক দফা সম্প্রীতিমূলক আলোচনা শুরু হয়। সে আলোচনা শেষেই এসেছে চুক্তি সইয়ের ঘোষণা।
গাজার শাসনক্ষমতায় থাকা হামাস এবং পশ্চিম তীরের শাসনক্ষমতায় থাকা ফাতাহর মধ্যে শত্রুতার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। সেই শত্রুতার পটভূমির মধ্যে দুই দল এবার ঐক্য সরকার গড়তে একমত হলো। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং–ই বলেছেন, এই চুক্তি ১৪টি ফিলিস্তিনি দলের মহান সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত। এর মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পিএলও (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন) সব ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি। গাজায় যুদ্ধ–পরবর্তী শাসন এবং অস্থায়ী একটি জাতীয় সম্প্রীতির সরকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। কারণ ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যকার গভীর শত্রুতাসহ নানা জটিলতা আছে। আর পশ্চিমারাও সরকারে হামাসের কোনও ভূমিকা চায় না। তাছাড়া এই চুক্তি বাস্তবায়নের কোনও দিনক্ষণও এখনও ঘোষণা হয়নি।