গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের পরিবারের বহু সদস্য ও আত্মীয়–স্বজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, এ সংখ্যা অন্তত ৭০৬। খবর বিডিনিউজের।
ইউনিয়নের ফ্রিডমস কমিটি শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে ইসরায়েলি বাহিনী ধারাবাহিকভাবে এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তাদের মৃত্যু যুদ্ধের কারণে নয় বরং সাক্ষী ও সত্য মুছে ফেলার জন্য ইসরায়েলের ইচ্ছাকৃতভাবে নেওয়া কৌশলের কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সহিংসতা ক্রমেই আরও বিপজ্জনক ও নির্মম হয়ে উঠেছে। তাদের পরিবার ও স্বজনরা হামলার নিশানা হয়েছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, সাংবাদিকতা পেশাকে অস্তিত্ব সংকটের মুখে ঠেলা। ফিলিস্তিনি কণ্ঠকে স্তব্ধ করার ইসরায়েলের চেষ্টায় চরম মূল্য দিতে হয়েছে সাংবাদিকদের সন্তান, স্ত্রী ও বাবা–মাকে। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নের ফ্রিডমস কমিটির প্রধান মুহাম্মদ আল লাহহাম বলেন, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সাংবাদিকদের পরিবারের ওপর হামলা গাজায় নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা দমনে ইসরায়েলের অভিপ্রায়কেই সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পরিবারকে হত্যার নিশানা করে ইসরায়েল এটাই দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারা সত্যের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে। তাদের এই যুদ্ধে ক্যামেরা এবং শিশু কিংবা সাংবাদিকের কলম আর তার বাড়ির মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। ফিলিস্তিনি কণ্ঠকে স্তব্ধ করার ইসরায়েলের চেষ্টায় সাংবাদিকদের পরিবারের রক্ত সাক্ষী হয়ে থাকবে, বলেন লাহহাম। সাংবাদিক ইউনিয়নের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে ইসরায়েলের হামলায় সাংবাদিকদের ৪৩৬ জন স্বজন, ২০২৪ সালে ২০৩ জন এবং ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৭ জন স্বজন নিহত হয়েছে। অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে তাঁবু বা অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করতে বাধ্য হওয়ার পরও তাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চলেছে। সর্বশেষ ঘটনায়, সমপ্রতি উদ্ধারকর্মীরা খান ইউনিসের কাছে সাংবাদিক হিবা আল–আবাদলা, তার মা এবং আল–আস্তাল পরিবারের প্রায় ১৫ জন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল।











