বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ যান ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই সাক্ষাতে খালেদা জিয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে অবর্ণনীয় দুর্দশায় থাকা গাজার নারী–শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন।
রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করতে এসেছেন। ম্যাডামের চিকিৎসার খোঁজ–খবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন। ম্যাডাম রাষ্ট্রদূতের কাছে ফিলিস্তিন এবং গাজার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। বিএনপি চেয়ারপারসন ইসরায়েলিদের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ শান্তিকামী বিশ্বের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন যা রাষ্ট্রদূতকে ম্যাডাম বলেছেন। গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী–শিশুরা অবর্ণনীয় দুভোর্গে আছে তাদের প্রতি সহমর্মিতাও প্রকাশ করেন তিনি।
গুলশানে প্যালেস্টাইন দূতাবাসের জন্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জমি দেওয়া এবং ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার দূতাবাস ভবন নির্মাণে অনুদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত ইয়াসির আরাফাতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকার কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত, বলেন এনামুল হক।