মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ সমপ্রতি এক সাক্ষাৎকারে গাজা এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে আশেপাশের আরব দেশগুলোতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। খবর বাংলানিউজের।
সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, তিনি গাজার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুটা অস্পষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, গাজায় স্থিতিশীলতা অর্জনই আমাদের অগ্রাধিকার। তিনি আরও বলেন, স্থিতিশীলতা মানে হতে পারে কিছু মানুষ ফিরবে, আবার কেউ নাও ফিরতে পারে।
দুই রাষ্ট্র সমাধান ও গাজার পুনর্গঠন প্রসঙ্গে উইটকফ বলেন, আমার কাছে দুই রাষ্ট্র বলতে বোঝায় গাজার মানুষের জন্য ভালো জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি করা। তবে এটা শুধু আবাসনের বিষয় না। হতে পারে সেখানে এআই প্রযুক্তি আনা হবে, অথবা বড় আকারের ডেটা সেন্টার স্থাপন করা হবে।
এতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। আমরা গাজাকে কেবল সাহায্যনির্ভর করে রাখতে চাই না। তিনি বলেন, হামাস গাজায় থেকে চিরকাল শাসন করতে চায়, যা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে অগ্রহণযোগ্য। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় হামাস নিরস্ত্র হোক।
তবে হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণে রাজি হয়, তাহলে তারা কিছুটা সময়ের জন্য সেখানে থাকতে পারে এবং রাজনৈতিকভাবে অংশ নিতে পারে। তবে তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন গাজার শাসনভার নেবে এটি ইসরায়েলের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
উইটকফ আরও দাবি করেন, হামাস চূড়ান্তভাবে অনমনীয় নয় এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব। তবে তিনি সরাসরি হামাসের সঙ্গে আলোচনা করছেন না বলে জানান এবং কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবহার করছেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজা দখল করতে চায় বলে তিনি মনে করেন না। উইটকফ সতর্ক করে বলেন, মিশর একটি সম্ভাব্য উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, কারণ গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে আশেপাশের আরব দেশগুলোতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।