গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

| শুক্রবার , ২০ অক্টোবর, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

অবরুদ্ধ গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলফিলিস্তিন যুদ্ধ হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। গাজায় জ্বালানি, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে নয় হাজারেরও বেশি ক্যানসার রোগী রয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এতথ্য জানিয়েছে। তুর্কিফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সুকেক সতর্ক করে বলেন, হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির পাশাপাশি কেমোথেরাপির ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে।

ডা. সুকেক আল জাজিরাকে বলেছেন, আমরা প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু রেডিওলজি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বছরের শুরুতে বলেছে, গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালে নয় হাজারের বেশি রোগী রয়েছে। তুর্কিফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল একটি স্থানীয় জেনারেটরে চলছে।

এর জ্বালানি শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। যা রোগীদের জীবনকে বিপন্ন করবে। ডা. সুকেক বলেন, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) পরিচালনার জন্য প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন। অক্সিজেন সরবরাহের মেশিনের জন্যও অনেক বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার সব হাসপাতাল বন্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিদ্যুৎ, পানি এবং ওষুধের অভাবের কারণে এমন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কিছু হাসপাতালকে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।

বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তারপর রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। বৈঠকে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলফিলিস্তিনি সংঘাতের আজ ১২তম দিন। সংঘাতে অন্তত তিন হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৯৪০ শিশু এবং ১ হাজার ৩২ নারী আছেন। অন্তত ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। চার হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েলকে অস্ত্র সহযোগিতার বিরোধিতায় মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধসিএনজি থেকে ছিটকে সড়কে, প্রা*ণ গেল কেইপিজেড কর্মকর্তার