গাজার উত্তরে গাজা সিটির একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই এখন নিরাপদ নেই বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পরিচালক টমাস হোয়াইট জানিয়েছেন যে, সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসংঘের কোনো কিছুই করার নেই। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এদিকে হামলার শিকার জাবালিয়ার আল–ফাখৌরা স্কুলটি বর্তমানে অস্থায়ী শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। এখানে হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। সেখানে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান এই কর্মকর্তা। ফোনে তিনি বলেন, ‘স্কুল প্রাঙ্গণে যেখানে গৃহহীন পরিবারগুলো তাঁবু টানিয়ে ছিল সেখানে অন্তত একটি বোমা আঘাত হেনেছে। আরেকটি বোমা আঘাত হানে স্কুলের ভেতর, যেখানে নারীরা রুটি তৈরি করছিলেন।’ হামলার পর সেখানে রয়টার্সের তোলা ছবিতে দেখা যায়, আসবাবপত্র ভেঙে পড়ে আছে, অন্যান্য জিনিসপত্র ছড়ানো ছেটানো, মাটিতে রক্ত এবং লোকজন কাঁদছে। রয়টার্সের ভিডিওতে দেখা যায় এক ব্যক্তি বলছেন, ‘লোকজন সকালের নাস্তার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হঠাৎ করেই বোমা বর্ষণ শুরু হয়। আমার দুই মেয়ের মধ্যে একজন শহীদ হয়েছে। তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। দ্বিতীয় মেয়েটিও আহত হয়েছে। তার পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে..।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল–কিদরা জানিয়েছেন, গাজা নগরীর আল–শিফা হাসপাতালের কাছে শুক্রবার যে অ্যাম্বুলেন্সটিকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করেছে সেটি একটি বহরের অংশ ছিল। ইসরায়েল আল–শিফা হাসপাতালের গেইট ও এক কিলোমিটার দূরে আনসার স্কয়ারসহ কয়েক জায়গায় এই অ্যাম্বুলেন্স বহরটিকে লক্ষ্যস্থল করেছে।