গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এক সপ্তাহেই অনেক বেড়ে গেছে ঘৃণাজনিত অপরাধ। ইহুদিবিদ্বেষী এবং ইসলামবিদ্বেষী অপরাধ দুটোই প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুক্রবার পুলিশের দেওয়া হিসাবমতে দেখা গেছে এমনটাই। ইহুদিবিদ্বেষ জনিত অপরাধ এমাসে এখন পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৪০৮ টি, গত বছর একই সময়ে যা ছিল ২৮। আর ইসলামবিদ্বেষ জনিত অপরাধের ঘটনা গত অক্টোবর মাসের ৬৫ টি থেকে বেড়ে এ মাসে এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১৭৪ টিতে। খবর বিডিনিউজের।
গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের হামলা এবং এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলের লাগাতার বিমান হামলার জেরে লন্ডনে মুসলিম এবং ইহুদি ঘৃণা–জনিত অপরাধ বেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। বিবিসি জানায়, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, গাজা–ইসরায়েল সংঘাত এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী আইন লঙ্ঘনের ১০ টি সন্দেহজনক ঘটনার তদন্ত চলছে। লন্ডনে শনিবার বড় ধরনের ফিলিস্তিন–পন্থি বিক্ষোভ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ কমান্ডার কেলি গর্ডন বলেছেন, তারা ঘৃণাজনিত অপরাধের যে কোনও কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে খুবই কড়া ব্যবস্থা নেবেন। গত সপ্তাহে লন্ডনে প্রায় ১ লাখ মানুষ ফিলিস্তিন সলিডারিটি ক্যাম্পেইন এর আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিল। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে স্লোগান দেওয়া কিছু মানুষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পুলিশ পরে আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে সমালোচনার শিকার হয়েছিল।
এবার লন্ডনে শনিবার অনুষ্ঠেয় আরেকটি ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সামাল দিতে রাজধানীজুড়ে ২ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবে বলে জানান কেলি। তিনি বলেন, কেউ জিহাদের ডাক দিলে বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জিহাদ ডাকলে কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবে। তথ্য সংগ্রহ করবে। যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনের হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবেই চিহ্নিত। এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া সেখানে একটি ফৌজদারি অপরাধ। অপরাধের সাজা হতে পারে ১৪ বছর পর্যন্ত জেল।