বছর ঘুরে ঈদ আসে যা শুধু ইসলামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রভাব ভিন্ন ধর্মালম্বীদের কাছেও আনন্দ দেয়। ঈদ হল সামাজিক বন্ধনের অন্যতম উৎসব। ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে আপন করে নেওয়ার আয়োজন। বর্তমান বিশ্বের অস্থির রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সকল ভেদাভেদ ভুলার উপলক্ষ হতে পারে এই উৎসব।
ইসলামি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঈদ যেমন ধর্মী আচার–অনুষ্ঠান তেমন এর তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী ভূমিকাও অনেক। ঈদ বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধ ও অর্থনৈতিক বিভাজন দূর করে সমতায় বিশ্বাসী। এর নির্মল আনন্দে মানুষের মনকে বিদ্বেষ ও শত্রুতা মুক্ত করার দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বীকৃত। ঈদ মানে আনন্দ, বিনোদন, উৎকর্ষ।
পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানের বাসিন্দারা সারাবছর উদ্বেগ উৎকষ্ঠায় কাটান। গাজাবাসীর কাছে এই ঈদ মানে কান্না, ক্ষুধা, স্বজন হারানোর বেদনা, না পাওয়ার শূন্যতা। পুরো বিশ্ব যখন আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজন নিয়ে একসাথে আনন্দ করবে তখন তারা বোমার শব্দে ছুটাছুটি করবে, ধ্বংসস্তুপের মাঝে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন আর লন্ডভন্ড ভবনের ছায়ায় আতংকে দিন পার করবে। যে শিশুটি ঈদে সালামি আর বেড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা সে হয়তো নতুন পোশাকের পরিবর্তে জড়িয়ে থাকবে স্বজনের রক্তমাখা কাপড়। ঈদে কোলাহলের বদলে শুনবে শোকের মাতম। তাদের কাছে ঈদেও বার্তা মানে শুধুই বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তারপরও তাদের মাটি মাতৃকা রক্ষায় সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণ করবেন এক মহাশক্তিতে। সে শক্তি ঈমান। বন্ধ হোক যুদ্ধ ও অস্ত্রের প্রতিযোগিতা। প্রতিটি দেশ তার সার্বভৌমত্ব এবং শাস্তিতে বসবাসের অধিকার ফিরে পাক।