গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ

| বুধবার , ১১ অক্টোবর, ২০২৩ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

ইসরায়েলের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে গাজা ভূখণ্ডে জাতিসংঘের জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষ অবস্থান নিয়েছে। ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’ (ইউএনআরডব্লিউএ) সোমবার বলেছে, তাদের ৮৩টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। স্কুলগুলোর চেয়ারটেবিল সরিয়ে বিছানা পাতা হয়েছে। মোট আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতার ৯০ শতাংশই পূর্ণ হয়ে গেছে। খবর বিডিনিউজের।

সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয় নেওয়া জাতিসংঘের একটি স্কুল সরাসরি ইসরায়েলের হামলায় শিকার হয়েছে। এর বেশি কিছু জানায়নি ইউএনআরডব্লিউএ। ওই আক্রমণের সময় স্কুলটিতে কতজন ছিলেন, সেটিও জানা যায়নি। মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখে বাধ্য হয়ে ১৪টি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে ইউএনআরডব্লিউএ লিখেছে। ফলে ৫ লাখ মানুষের খাদ্য সহায়তা পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার ভোরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আকস্মিক হামলায় স্তম্ভিত হয়ে যায় ইসরায়েল। এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পাল্টাপাল্টি সহিংসতায় উভয়পক্ষের মোট দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা বেড়ে ৯০০ জন হয়েছে আর আহত হয়েছে অন্তত ২৬০০ জন, এছাড়া আরও বহু জনকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৬৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। গাজার যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, একটি মসজিদ ও হাসপাতালও আছে, এর পাশাপাশি কিছু সড়ক ও বাড়িও ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল বেসামরিক ফিলিস্তিন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সদরদপ্তরেও বোমাবর্ষণ করেছে। এতে গাজার ল্যান্ড টেলিফোন, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলা সোমবার রাতেও অব্যাহত ছিল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আকাশ ও সাগর থেকে গাজা ভূখণ্ডের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে, এগুলোর মধ্যে ইসলামিক জিহাদের একটি অস্ত্রাগার ও গাজার উপকূলে হামাসের কিছু স্থাপনা ছিল। হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা সোমবার হুমকি দিয়ে বলেছেন, সতর্কতা জানানো ছাড়া গাজার প্রত্যেক বেসামরিক বাড়িতে বোমা হামলা চালানোর জন্য একজন করে ইসরায়েলির বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তা সমপ্রচার করা হবে। হুমকির বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েলে হামাসের হামলা পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছিল ইরান?
পরবর্তী নিবন্ধপরিচয় বদল