ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ ও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির প্রতিবাদে চবি প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ বখতিয়ার উদ্দীন, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটোয়ারী, মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা এবং দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে সামপ্রতিক সময়ে ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনে শহীদ হওয়া সকল মুসলিম শিশু ও নারী–পুরুষের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং গাজায় নারী, শিশু ও মুসলিম ভাইবোনদের উপর ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান। তিনি বলেন, “গাজায় যে আক্রমণ চালানো হচ্ছে, তা নতুন কিছু নয়; আমরা বাল্যকাল থেকেই এটি দেখে আসছি। বিশ্বের দায়িত্বশীলরা নীরব ভূমিকা পালন করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাজাবাসীর পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে হবে যে, গাজাবাসীর ওপর ইসরাইলি বাহিনীর হস্তক্ষেপ মানবতা–বিরোধী অপরাধ।
তিনি বলেন, আমাদের বুদ্ধি ও জ্ঞানের মাধ্যমে সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যাতে রাষ্ট্রও মজবুত হয়। শিক্ষিত ও যোগ্য ছাত্র–শিক্ষক তৈরির মাধ্যমে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তিনি ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।
চবি উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছি, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। মানবসভ্যতায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এমন অত্যাচার পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। তিনি স্বীকৃতিদানকারী ১৪৮টি রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। চবি উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের একমাত্র এজেন্ডা যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে, শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করবে, তাদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নেয়া। একজন শিশুর কী অপরাধ? একজন শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে কোনো নরপিশাচও এ ধরনের নৃশংসতা চালাতে পারে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।