গাছের সাথে বেঁধে রাখা ওই ৮ জন আসলে কে

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ৩১ মে, ২০২৩ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় ‘ডাকাত’ সন্দেহে জনতার হাতে ৮ জন আটক হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর থেকে তাদের আটক করে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বহিরাগত ৮ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে গতকাল রাত দেড় টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আটককৃতরা ‘ডাকাত’ কিনা পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

আটককৃতরা হলেন, পটিয়া উপজেলার মো. মহি উদ্দীন (১৯), মো. সাগর (২৫), বাঁশখালী উপজেলার মাহমুদুল হাসান (৩০), মাহমুদুল ইসলাম সাগর (২২), নজরুর ইসলাম (১৯), আবদুল মালেক (২৭), মো. মিজানুর রহমান ও চন্দনাইশ উপজেলার অভিজিত দাশ রানা।

স্থানীয় জুইঁদন্ডি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মাহফুজ জানায়, জনতার হাতে আটককৃতরা জুইঁদন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিসের ফুফাতো ভাই মো. জালালের ওপর রাত সাড়ে ৮টায় হামলা করে পালিয়ে আসার সময় বরুমচড়ার ভরাচরে জনতা তাদের আটক করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জুঁইদন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিসের পরিবারের সাথে স্থানীয়ভাবে এক পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। তাদের একে অপরের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে বলে জানা যায়। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষ গতরাতে চেয়ারম্যানের ফুফাতো ভাই জালারের ওপর হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা ধাওয়া করে এসব দুষ্কৃতকারীকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। রাতে পুরো এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে হৈচৈ পড়ে।

স্থানীয় উৎসুখ জনতা তাদের দেখতে ভীড় করে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে জুঁইদন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস বিদেশে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মো. হাসান জানায়, ডাকাত সন্দেহে বহিরাগত ৮ জনকে আটক করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না, তারা ডাকাতির জন্য আসছে নাকি তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের বিপুল টাকা আত্মসাৎ, ১৩ বছর পলাতক
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থ-সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনীতি নয় : হাই কোর্ট