গত ১৫ বছরে অভিষেক বচ্চনের দাম্পত্যসঙ্গী হয়ে সুখী জীবন কাটালেও নানা গাল-গল্প গায়ে না মেখেই চলতে হচ্ছে ঐশ্বরিয়া রাইকে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এমন একটি গুজবের কথা তুলে ধরেছে, যা নিয়ে বিরক্ত হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া, এমনকি বিদেশে গিয়েও এনিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল তাকে। সাবেক বিশ্বসুন্দরীকে নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুত গুজবটি ছড়িয়েছিল ২০০৭ সালে তার বিয়ের পরপরই। বলা হয়েছিল, অভিষেকের সঙ্গে বিয়ের আগ মুহূর্তে ‘অশুভ লক্ষণ’ এড়াতে ঐশ্বরিয়াকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি গাছের সঙ্গে এবং তা পারিবারিকভাবেই।
এক সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি অভিশপ্ত কিনা? জবাবে এই বলিউড তারকা বলেছিলেন, বিয়ে নিয়ে কিছু গুজব বা মনগড়া গল্প রটতে পারে, সে প্রস্তুতি তার ছিল। কিন্তু এতটা হবে, সেটা তার কল্পনায়ও আসেনি। এই গুজবের সূত্রপাত ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের বিয়ের আগের বছর ২০০৬ সালে। এক জ্যোতিষীর উদ্ধৃতি দিয়ে এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই জ্যোতিষীর পরামর্শে ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক ‘পবিত্র’ শহর বারানসিতে ছিলেন। অকল্যাণ কাটাতে দুই পরিবারকেই প্রাচীন শিব মন্দিরে পূজা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
২০০৭ সালে ২০ এপ্রিল হিন্দু রীতি মেনে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। ঝলমলে সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল বচ্চনদের ‘প্রতীক্ষা’ বাসভবনে। সেই বিয়েতে সংবাদ মাধ্যম পর্যন্ত উঁকিঝুঁকির অনুমতি পায়নি। তাই বিয়ে নিয়ে আগ্রহ ও জল্পনাও পৌঁছেছিল তুঙ্গে।
গাছের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়ার মন্তব্য ছিল, এটা ‘অত্যন্ত বাড়াবাড়ি’, যার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ওই গুজবের জন্য যত কাগজ আর কালি খরচ হয়েছে এবং টিভি শোগুলোয় যত আলোচনা হয়েছে, সবই ছিল ‘অযথা’। বচ্চনবধূ আরও বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে আমি মুখ খুলিনি। সেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম বাবাকে (শ্বশুর অমিতাভ বচ্চন)। উনি সংবাদমাধ্যমকে জবাব দেন।
তার পরিবার কুসংস্কারে বিশ্বাসী নয় জানিয়ে অমিতাভ তখন বলেছিলেন, তার ছেলের বিয়ের সময় ঐশ্বরিয়ার জন্মকুষ্ঠীও চাওয়া হয়নি তার পরিবারের কাছে। বহু ধুমধাম করে অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়, আর অভিষেক নিশ্চয়ই কোনো গাছ নয়, বলেছিলেন বিগ বি।