আলোচিত গাছুয়া–বাঁকখালী রুটে ফেরি সার্ভিস এখনই চালু হচ্ছে না। গত অক্টোবর মাসে ফেরি চালুর জন্য সম্ভাব্য রুট পরিদর্শনে এসেছিলেন বিআইডব্লিউটিএর বিআইডব্লিউটিসি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ। ওই সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে ফেরি রুটের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। তবে প্রায় দুই মাস পার হলেও গাছুয়া–বাঁকখালী রুটের দুই প্রান্তে এখনো শুরু হয়নি অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ। একদিকে বেড়িবাঁধ থেকে সংযোগ সড়ক নেই, অন্যদিকে ফেরি এসে ভেড়ানোর জন্য নেই জেটি।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আশরাফুজ্জামান আজাদীকে জানান, গাছুয়া–বাঁকখালীতে ফেরিতে সরাসরি গাড়ি ওঠানামার জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় এ রুটে এখনই ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য বিআইডব্লিউটিএর উদ্যোগে জেটি নির্মাণসহ অবকাঠামো করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌরুটে জেটি ও রাস্তাসহ অবকাঠামো সুবিধা থাকায় আমরা দ্রুত এদিক দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ মুহূর্তে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে নতুন খালের মুখে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এটা শেষ হলে কুমিরা খালটাও ড্রেজিং করে ভিতরে যাতে ফেরি ঢুকতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি জানান, ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য মীরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষাঙ্গিক স্থাপনার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এটার নির্মাণ কাজ শেষ হলে সন্দ্বীপ অংশের জেটিটার সুবিধা দ্বীপবাসী পাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ থেকে কুমিরা–গুপ্তছড়া খালসহ ঘাটের মালিকানা বিআইডব্লিউটিএ পুরোপুরি বুঝে পেলে ফেরি সার্ভিস চালুসহ অন্যান্য যাত্রীসুবিধা দ্রুত প্রদান করা সম্ভব হবে।