মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ‘১২তম গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী মেধা বৃত্তির পুরস্কার বিতরণ গত ১৩ ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব হলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত মোট ৮১ জন ও অনলাইনের ৯ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বৃত্তি ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী। প্রধান অতিথি বলেন, শুধুমাত্র জিপিএ–৫ বা প্রাতিষ্ঠানিক সনদ অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো একজন ভালো ও নৈতিক মানুষ হওয়া। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ শিক্ষার সাথে নৈতিকতার যে সংযোগ ঘটিয়েছে, তা বর্তমান সমাজ সংস্কারে অত্যন্ত জরুরি। এই বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করবে। সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডারী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো সুফি সভ্যতা বা নৈতিক মানব ধর্মকে ধারণ করে একটি মানবিক সমাজ গঠন করা। সরওয়ার কামাল ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নূ ক ম আকবর হোসেন, চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরশেদুল আলম এবং চবি ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরওয়ার, আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারীর সমাজকল্যাণ সম্পাদক মহিউদ্দীন এনায়েত। মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে ড. শামসুদ্দীন শিশির বক্তব্য রাখেন। শেষে অতিথিবৃন্দ কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেন।
আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারী (শাহ্ এমদাদীয়া) মহানগর কার্যকরী সংসদ, কোতোয়ালী, খুলশী, আকবরশাহ, ডবলমুরিং–সদরঘাট, বন্দরপতেঙ্গা ও পাহাড়তলী থানা কার্যকরী সংসদের আয়োজন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











