গাউছিয়া কমিটি মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ জুন, ২০২২ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ঘটনার পর অনন্য ভূমিকা রাখে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। করোনাকালে লাশ দাফন কাফনে অনন্য ভূমিকা রাখা স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি ঘটনার পরপরই হাজির হয় বিএম ডিপোতে। এরপর গত চারদিন ধরে এই সংগঠন প্রতিটি মরদেহ পরিবহন এবং গোসলসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছে। এই সংগঠনের কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে ডিপোতে প্রবেশ করে লাশ উদ্ধারের কাজে নেমে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পরপরই গাউছিয়া কমিটি বিএম ডিপো থেকে লাশ বহনে তাদের চারটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত করে। সেই সঙ্গে অগ্নিদগ্ধদের রক্তদান ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ কাজ চালিয়ে যায়।

গতকাল পর্যন্ত আহতদের ওষুধ ও রক্ত সরবরাহের পাশাপাশি সংগঠনের কর্মীরা হাসপাতালে আগতদের পানি ও খাবার সরবরাহ করেছেন। গাউছিয়া কমিটির পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বিএনসিসিসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হতাহতদের উদ্ধার ও সেবায় কাজ করছে। তাদের এই এগিয়ে আসা চিকিৎসাসেবা ও প্রশাসনিক কাজে যথেষ্ট সহায়তা হয়েছে বলেও সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে।

এ বিষয়ে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ মানবিক সেবা কর্মসূচির সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ খতিবী বলেন, সীতাকুণ্ড গাউছিয়া কমিটির কর্মীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত থেকে কার্যক্রম শুরু করি। গাউছিয়া কমিটির চারটি অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের চমেক হাসপাতাল, সিএমএইচ, মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, পার্ক-ভিউসহ বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত চারদিনে এখানে নিয়োজিত আমাদের কোন নেতাকর্মী ঘরে যাননি।

গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও মানবিক সেবা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার কাজ করছেন গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা। পাশাপাশি আহতদের জন্য রক্তদান। গত চারদিন ধরে আমরা কাজ করছি। বিএম ডিপোর বিপর্যয় মোকাবেলায় যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিনই গাউসিয়া কমিটি দুর্গতদের পাশে থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শুধু এখানে নয়, ভবিষ্যতেও দেশের যে কোন দুর্যোগ দুর্ভোগে গাউসিয়া কমিটি সামর্থের সবটুকু নিয়ে মাঠে থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখনো থেমে থেমে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধদুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরোহী নিহত