গলিতে পুলিশ ঢুকলেই বন্ধ হয়ে যায় দোকান

রাস্তায় বেড়েছে গাড়ি, অভিযানও আছে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২১ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

কঠোর লকডাউনের মাঝে নগরীর রাস্তায় বেড়েছে যানবাহন, ফুটপাতে বেড়েছে হকারের সংখ্যা। সপ্তম দিনে গতকাল মঙ্গলবার নগরজুড়ে ছিল ঢিলেঢালা ভাব। আগ্রাবাদ মোড়ে ট্রাফিককে তপ্ত রোদে হাতের ইশারায় যানজট মোকাবেলা করতে দেখা গেছে। ট্রাফিক সদস্যদের সামনেও শ্রমিক পরিবহনের নামে যাত্রী ওঠানামা চলেছে। আবার মাঝেমধ্যে অনেক বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছেন ট্রাফিক সদসরা। তবে নগরজুড়ে ট্রাফিকের মূল টার্গেট ছিল মোটর সাইকেল। মোটর সাইকেলে দুজন যাত্রী দেখা গেলেই অ্যাকশনে গেছে ট্রাফিক। তবে দাপট ছিল রিকশা ও প্রাইভেট কারের। গতকাল বিকেল ৪টার কিছু আগে আগ্রাবাদ মোড়ের তিন দিকে ছিল গাড়ির জটলা। বাণিজ্যিক এলাকাটিতে অফিস ছুটি হওয়ায় একের পর এক প্রাইভেট কার বের হতে দেখা গেছে কমার্স কলেজ রোড ও পুরনো চেম্বার রোড দিয়ে। একই সময়ে শ্রমিকবাহী বাসের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই প্রান্তে ট্রাফিক সদস্যরা স্বাভাবিক সময়ের মতো যানজট নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সড়কের মাঝখানে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পাইলিংয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সংকুচিত হয়ে গেছে আগ্রাবাদ মোড়।
এখানে ট্রাফিক সদস্যের সামনেই বাসে যাত্রী ওঠানামা চলেছে। একই সময়ে কয়েকটি বাস যাত্রী নেওয়ার মুহূর্তে লুসাই পরিবহনের একটি বাস আটক করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। এ সময় চালক যাত্রীদের কারখানা শ্রমিক দাবি করলেও কর্তব্যরত সার্জেন্ট যাত্রীদের সাথে কথা বলে চালকের কথার সত্যতা না পেয়ে মামলা দেন।
শুধু আগ্রাবাদ মোড় নয়, বহদ্দারহাট থেকে শুরু করে মূল সড়কের প্রত্যেকটি মোড়ে ছিল ছোট-বড় যানবাহনের জটলা। সকাল ৮-১০টা এবং বিকেল তিনটার পর থেকে পাঁচটা পর্যন্ত যানবাহনের উপস্থিতি ছিল বেশি।
অন্যদিকে গতকাল ফুটপাতগুলোতে হকারের সংখ্যা অন্যদিনের চেয়ে বেশি ছিল। মূল সড়ক বাদে অন্য সড়কগুলোতে নিত্যপণ্য ছাড়াও সব ধরনের দোকানপাট খোলা ছিল। কদমতলী মোড় থেকে দেওয়ানহাট, কদমতলী থেকে চৌমুহনী, শুভপুর বাস্ট্যান্ড থেকে বারিক বিল্ডিং, বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার, সিরাজদ্দৌলা রোড, মুরাদপুর থেকে চকবাজার, মুরাদপুর থেকে অঙিজেন, আগ্রাবাদ থেকে বড়পোল, দেওয়ানহাট থেকে সাগরিকা, নিউ মার্কেট মোড়, সদরঘাট, আইস ফ্যাক্টরি বোড, পূর্ব মাদারবাড়ী, পশ্চিম মাদারবাড়ী, মেহেদিবাগ রোড, জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়সহ প্রায় সবগুলো সড়কের ফুটপাতে দেখা গেছে হকারের উপস্থিতি। সবজি ফল থেকে শুরু করে জুতো, কাপড়, তৈজসপত্র বেচাকেনা চলেছে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের কিছু দোকানে দরজার মুখ খোলা রেখে আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করছেন অনেকে। তবে গলিতে পুলিশ ঢুকলেই নিভে যায় বাতি, বন্ধ হয়ে যায় দোকানগুলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে অস্ত্রসহ আটক ২
পরবর্তী নিবন্ধনিম্নআয়ের মানুষের চাপা কান্না