জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ বলেছেন, পুষ্টির অভাবে জন্মের পর শিশুরা রোগাক্রান্ত, বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী হয়। তাই গর্ভবতী মাকে পরিমাণমত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কেউ যাতে অপুষ্টিতে না ভুগে সে জন্য সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১ জুন অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা এবং ‘মাল্টি– সেক্টরাল নিউট্রিশন কো–অর্ডিনেশনে সহায়তাকরণ’ বিষয়ক জেলা পর্যায়ের কর্মশালা একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। সভা গুলোতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সরকার পুষ্টির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ (বিএনএনসি) ২২টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে, যেগুলো পুষ্টি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গর্ভবতী নারীদের পুষ্টি ও মনো–সামাজিক বিকাশের দিকে নজর দিতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুদের মস্তিষ্কের সার্বিক গঠন নিশ্চিত করা যাবে। শিশুর জন্মের পর পর জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। জন্মের সাথে সাথে শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। এটি টিকা হিসেবে কাজ করবে। মা ও শিশুকে নির্ধারিত সময়ে টিকাগুলো দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদে ডাক্তারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে পুষ্টি বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা জেলা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, চমেক হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জেবিন চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মো. ফরিদুল আলম, মহিলা বিষয়ক উপ–পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মো. নুরুল হায়দার। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পুষ্টি কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন ইউনিসেফের নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবা সুই ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনি রোজারিও। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
