চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত যে কয়েকটি হাট ইজারা প্রদান করা হয়েছে, প্রত্যেকটা হাট ইজারা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা গ্রহীতা হয়, সরকারি ভ্যাট টেক্সসহ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল নিয়মকানুন মেনে ইজারাদারগণ ইজারা গ্রহণ করে, হাট পরিচালনা করার জন্য যখন তারা দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
সর্বপ্রথম সেদিন থেকে চাঁদা প্রদান শুরু হয়, হাট শুরু করতে হয়, রাজনীতি ছত্রছায়া, গ্যাংস্টার, থেকে শুরু করে, দল উপদলে ভাগ হয়ে প্রতিদিন চাঁদাবাজি করতো ইজারা আগ্রহীতাদের কাছ থেকে, তার উপর আছে উপরওয়ালাদের খুশি করানোর, এইভাবে শেষ দিন পর্যন্ত নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে যেতে হয়েছে। উল্লেখ্য যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনসহ সারা বাংলাদেশ, সরকার অনুমতি ব্যতীত কোথাও পথে ঘাটে গরু – ছাগলের হাট বসানো যাবে না। কিন্তু এবার দেখা গেল সম্পূর্ণ তার বিপরীত পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে, অলিগলিতে পর্যন্ত স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনে ছত্রছায়ায় গরু ছাগলের হাট বসে।
যা সম্পূর্ণ আইনের বহির্ভূত, প্রচুর পরিমাণ চাঁদাবাজি – তার উপর ইজারা প্রাপ্ত গ্রহীতারা অলিগলি পাড়ায়-মহল্লায় গরু ছাগলের হাট বসাতে প্রতিটা ইজারা গ্রহীতারা প্রাপ্ত হাছিল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। প্রচুর লোকসান দিতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইজারা গ্রহীতা কোটি টাকার উপহার চাঁদাবাজি হয়েছে। তাদের কথা মতন আগামীতে কোটি কোটি টাকা ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে গরুর হাট ইজারা নিবে, আসল ব্যবসায়ীরা এমন দুঃসাহস দেখাবেনা। এই প্রতিবেদনকারীকে তারা জোরালো দাবি জানাই, সরকার যেন কোথায় কোথায় অনিয়ম, চাঁদাবাজি, যত্রতত্র গরু ছাগলের হাট বসানোর একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য, সরকারের কাছে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন।