উখিয়ায় রোগাক্রান্ত ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রির ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে মাংস ফেলে পালিয়ে যায় কসাই। তবে তার স্ত্রী ও কন্যাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার এলাকায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মরিচ্যা বাজার এলাকার মিয়াজান ফকিরের ছেলে কসাই মাহাবুল আলম দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন স্থান থেকে দুর্বল ও অসুস্থ ঘোড়া সংগ্রহ করে তা জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে আসছিল। সে ও তার সিন্ডিকেট অহরহ মরা গরু, ঘোড়া, ছাগল জবাই করে উখিয়ার বিভিন্ন হাট–বাজারে বিক্রি করেছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনজুর আলম জানান, এ ধরনের অভিযোগ কসাই মাহাবুবের বিরুদ্ধে অনেকের। রমজান মাসের মর্যাদাপূর্ণ ‘শবে কদর’ উপলক্ষে অনেক গবাদিপশু জবাই করা হয়ে থাকে। এ সুযোগে উক্ত কসাই কঙবাজার থেকে রোগাক্রান্ত, মরা ঘোড়া সংগ্রহ করে এনে রাতেই জবাই করে গরুর মাংস বলে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছিল। ঘটনাস্থল থেকে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস, মাথা, লেজসহ কসাই মাহাবুবের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ঘোড়ার মাংস, মাথা, লেজসহ দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাতের আধারে অসুস্থ এবং দুর্বল ঘোড়া নিয়ে আসার খবর পেলেও দিনের বেলায় ঘোড়াগুলোর দেখা মিলতো না। বেশ কিছুদিন ধরে দুর্বল ও অসুস্থ ঘোড়া, এমন কি মরা গরু–ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে ঐ কসাইয়ের বিরুদ্ধে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় লোকজন রোগাক্রান্ত ঘোড়া জবাই করে তা বাজারে গরুর মাংস বলে বিক্রি করার অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কসাই পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।