কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বিচারক) রাজীব কুমার দেব বলেছেন, ১৯৭১ সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত সকল ধরণের বিরোধ নিষ্পত্তি হতো আদালতের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরকার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।
এমন কিছু বিষয় আছে যেসব বিষয় স্থানীয়ভাবে সমাধান করা যায়। অন্যথায় উভয়পক্ষ মামলায় জড়িয়ে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ প্রণয়ণ করে।
তিনি বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারিভাবে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয় এই আইনের মাধ্যমে। তাই সমাজের হতদরিদ্র, পিছিয়ে পড়া মানুষকে একেবারে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করার সুযোগ রয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে আপসযোগ্য মামলা বা অভিযোগকেই আমলে নেবে লিগ্যাল এইড কমিটি। এই বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলে সাধারণ মানুষ বেশ উপকৃত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লিগ্যাল এইড কমিটি চকরিয়া চৌকির উদ্যোগে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২২ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব।
সভার সভাপতি চকরিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যদি ফৌজদারি বড় কোনো অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে তা আইনানুযায়ী যথানিয়মে চলবে। দেওয়ানি আইনের মামলাতেও একই ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন লিগ্যাল এইড কমিটি চকরিয়ার চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারি জজ জিয়া উদ্দিন আহমেদ। লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ-জামান, পুলিশের চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, চকরিয়া আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ চৌধুরী, এজিপি অ্যাডভোকেট শ্রীধর দত্ত বাদল, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু ও চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত, অ্যাডভোকেট লুৎফুল কবিরসহ আইনজীবীগণ, চৌকি লিগ্যাল এইড সহকারি ফেরদৌস আলম। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন আদালতের নাজির দেবব্রত গুপ্ত দেবু।