গরম মসলার বাজার ‘গরম’

আমদানিতে শুল্কায়নমূল্য ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা

জাহেদুল কবির | বৃহস্পতিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৩ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বৃদ্ধি এবং কয়েকটি পণ্যের শুল্কায়নমূল্য বাড়ানোর জেরে বাড়ছে গরম মসলার বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধর্মীয় ও সামাজিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রান্নার স্বাদ বাড়াতে গরম মসলার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় গরম মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া গরম মসলার খুব বেশি চাহিদা থাকে না। তবে সম্প্রতি কাস্টমস থেকে আমদানি পর্যায়ে শুল্কায়নমূল্য বাড়ানোর কারণে জিরার দাম আরো বেড়েছে। এছাড়া মসলার আন্তর্জাতিক বাজারও বাড়তি। এর প্রভাবে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম কেজিতে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গতকাল বুধবার চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬৫০ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি আগে হয়েছে এক হাজার ৪০০ টাকায়। এছাড়া জিরা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৯০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৮৯০ টাকায়। এছাড়া গোল মরিচ ৬১০ টাকা, দারুচিনি ৩০৫ টাকা এবং লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩৭০ টাকায়।

পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতমালা থেকে। বাকি সব পণ্য ভারত থেকেও আসে। ভারতে গরম মসলার সরবরাহ সংকট রয়েছে। তাই সেই দেশের রপ্তানিকারকরা বুকিং দর বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে কাস্টমস শুল্কায়নমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক এবি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী অমর কান্তি দাশ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশের মসলার বাজার প্রতিবেশি দেশ ভারতের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। সেখানে বাজার বেড়ে যাচ্ছে। তাই এর প্রভাব এখানে পড়ছে। গরম মসলা স্লো আইটেম। এখানে কারসাজি কিংবা মজুদ করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই। ভারতে হঠাৎ করে গরম মসলার দরপতন হলে আমাদের এখানে দাম কমে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা অনেকবার পড়েছেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভরশীল। ওরা প্রয়োজন মতো দাম ওঠানামা করান। অনেক দিন ধরে গরম মসলার বাজার ঠাণ্ডা ছিল। তবে কোরবানির ঈদের আগে থেকে বাজার বাড়তে থাকে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বৃদ্ধির অজুহাতে এখন দাম বাড়ছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ এখন যেসব মসলা রয়েছে, এগুলো আগের আমদানি করা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যেভাবে আন্তর্জাতিক বাজার বাড়লে দাম বাড়িয়ে দেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার যখন কমে তখন আমরা পণ্যের দাম কমতে দেখি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুধু নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার যুবক কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধনতুন ব্রিজ এলাকায় অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান