চট্টগ্রামে গরমের পারদ যেন নামছেই না। নগরসহ জেলা জুড়ে গরমে কাহিল জনজীবন। তীব্র রোদে ভোগান্তি পথচারী, রিকশাচালক, দিনমজুর সকলের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে তাপমাত্রা অতটা বেশি না থাকলেও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এখনো উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ হিসেবে রয়েছে। ২২ মের দিকে এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে জানায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে কিছু কিছু জায়গায় হালকা ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পশ্চিম-দক্ষিণ, পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৩ ডিগ্রি বেশি।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তদসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এদিকে রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, পাবনা জেলাসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।