প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার গম নিয়ে গায়েব হয়ে যাওয়া একটি লাইটারেজ জাহাজকে বাগেরহাট থেকে জব্দ করা হয়েছে। লোপাটকৃত গমের আংশিক উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজের নাবিকদের সকলেই পলাতক। ঘটনার জন্য জাহাজের মালিক ও নাবিকদের দায়ী করা হয়েছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার নাবিল গ্রুপের আমদানিকৃত গম নিয়ে এমভি জাগ রাডা নামের একটি মাদার ভ্যাসেল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল চলতি মাসের শুরু থেকে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমোদিত ড্রাফটের চেয়ে বড় হওয়ায় এটি বহির্নোঙরে অবস্থান করে লাইটারেজ জাহাজে গম খালাস শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন এমভি তাহমিনা রহমান খান-১ নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ উক্ত মাদার ভ্যাসেল থেকে গম খালাস করতে যায়। লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের মাধ্যমে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সমতা শিপিং লাইন লাইটারেজ জাহাজটি বরাদ্দ নেয়। জাহাজটিতে টানা ৬ দিনে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা দামের ২ হাজার টন গম বোঝাই করা হয়। গম বোঝাই শেষে জাহাজটি কাঁচপুরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে। গত ২১ জুন জাহাজটি শাহ সিমেন্টের ঘাট বরাবর নোঙর করে বার্থিং নেয়ার অপেক্ষা করে। কিন্তু কোরবানির ঈদের ছুটির শুরুতে জাহাজটি গম নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও জাহাজটির হদিস না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ নানাভাবে অনুসন্ধান করে বাগেরহাট থেকে জাহাজটি জব্দ করে। জাহাজটিতে আংশিক গম পাওয়া যায় বলে পুলিশের বরাত দিয়ে আমদানিকারকের প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন।
অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন খাতের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন। নৌ পথের এই পরিবহন ব্যবসায় পণ্য লোপাটের ঘটনা প্রায় প্রাত্যহিক। তবে এভাবে আস্ত জাহাজ গায়েব করে দেয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এটি শিপিং সেক্টরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জাহাজটির আমদানিকারকের প্রতিনিধি সমতা শিপিং লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জামাল হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি ডব্লিউটিসিকে জানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। তারা কি করে সেটি দেখব। না হলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।