সাবস্টেশনে ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সংযোগ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাত পৌনে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখাকালীন ত্রুটি সারাতে একসঙ্গে কাজ করছিল চসিক ও পিডিবির লোকজন। এ সময় দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আরো দুই–তিন ঘণ্টা লাগতে পারে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন আলকরণ ওয়ার্ডের কালীবাড়ি সংলগ্ন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাবি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর চালু করা করা হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোগীর স্বজন বলেন, জেনারেটর চালালেও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। কিছুক্ষণ আসে এবং যায় অবস্থা ছিল।
রাত পৌনে ১১ টায় চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ৫টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে জেনারেটর চালু করায় কোনো সমস্যা হয়নি। ত্রুটি সরাতে কাজ চলছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে চসিকের কেউ তা পিডিবিকে জানায়নি। পরে খবর পেয়ে নিজ উদ্যোগে পিডিবির লোকজন এলেও চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল কাউকে ঘটনাস্থলে না পেয়ে চলে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে সন্ধ্যার পর চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ যোগাযোগ করে পিডিবির সঙ্গে। এরপর পিডিবির লোকজন এসে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করে।
রাত ১১টার দিকে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগের উপ–সহকারী প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, সাবস্টেশনে বিড়াল পড়েছে। এতে ১১ হাজার কেভি লাইনে শর্ট হয়ে ফিউজ হয়। এ ধরনের ঘটনায় লাইন দেওয়ার আগে সবকিছু ভালোভাবে চেক করে নিতে হয়। অন্যথায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন কাজ চলছে। সংযোগ পেতে আরো তিন ঘণ্টা লাগতে পারে।
পিডিবির পূর্ব জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক কুমার আজাদীকে বলেন, ওখানে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব সাবস্টেশন আছে। সেখানে ত্রুটির খবর পেয়ে আমাদের লোকজন যায়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তারা চলে আসে। পরে সন্ধ্যার পর থেকে আবার সংযোগ ঠিক করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।