গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পরাজিত মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাই দরবার শরিফে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই নেতা। জাহাঙ্গীর বরিশালের ভোটে হামলার শিকার ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ–খবর নেন, জানান সমবেদনা। পাশাপাশি গভীর রাতে দুই নেতা একান্তে কিছু সময় বৈঠক করেন।
চরমোনাই মিডিয়া গ্রুপের সদস্য ও ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি এস এম সানাউল্লাহ গতকাল শুক্রবার রাতে বলেন, রাত ১১টায় গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম চরমোনাই দরবার শরিফে এসে পৌঁছান। এক ঘণ্টার মত তিনি এখানে অবস্থান করেছিলেন। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের শারীরিক অবস্থার খোঁজ–খবর নিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম ও মুফতী ফয়জুল করীম একান্তে কথা বলেছেন। খবর বিডিনিউজের।
তবে তাদের মধ্যে কী বিষয় নিয়ে আলাপ–আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে সানাউল্লাহ বলেন, মুফতী ফয়জুলের কক্ষ থেকে বেরিয়ে জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুরে ফিরে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে মুফতী ফয়জুল করিমের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমানকে মোবাইল করলে তিনিও সাড়া দেননি। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজীপুর মহানগরের প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক এস এম ওয়াহিদুল ইসলামও জাহাঙ্গীর আলমের চরমোনাই পীরের দরবার শরিফে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর আলম সাহেব এর আগেও তো দরবার শরিফে গিয়েছেন। কাল রাতে তিনি তার মতো করে লোকজনকে নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। আমাদের ঊর্ধ্বতন কেউ যায়নি।
জাহাঙ্গীর কেন গিয়েছিলেন, কিছু জানেন কিনা? জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, হুজুরের (ফয়জুল করীম) উপর হামলার পর তো অনেকেই গেছেন। তিনিও গেছেন উনাকে সমবেদনা জানাতে। সৌজন্য সাক্ষাৎ বলতে পারেন। ছবিও আছে।












