চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলে (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ‘রিসার্চ বেজড টিচিং–লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার গতকাল বুধবার একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ. এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। মূল বক্তা ছিলেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও চুয়েটের সাবেক ভাইস–চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির সেকশন অফিসার মো. ইমরান হোসেন।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতি তার কাঙ্খিত সাফল্যে পৌঁছাতে পারে না। সঠিক গবেষণা বা পূর্বপরিকল্পনার অভাবে অনেক বড় বড় সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে সমাধান হয় না। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হলো সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হলে বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা দায় হয়ে পড়বে। চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, বিতরণ ও সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব সর্বাগ্রে। আর এই নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণায় শিক্ষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার ভিত্তি গড়ে না উঠলে রাষ্ট্র–উন্নয়নে দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সারা বিশ্বে তাই গবেষণাকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রকৌশল শিক্ষায় এই গবেষণার গুরুত্ব আরো বেশি। আমি মনে করি, প্রকৌশল শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করতে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত গবেষণার প্রয়োজন।এতে এ ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা আরও এগিয়ে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।