প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তাই বঙ্গবন্ধু চেয়ারের কাজ হলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা করা। এজন্য তরুণ এবং গবেষণায় যাদের আগ্রহ রয়েছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া গবেষণার জন্য পরামর্শ এবং দেশের জন্য যারা কাজ করবে তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমরা প্রতি মাসে অন্তত একটি অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করব। আর বছরে ছয়টি পাবলিক লেকচার আয়োজন করার প্রস্তাব রাখব কর্তৃপক্ষের কাছে। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলে উপস্থিত থাকবেন। আমি শিক্ষকদের সাথে বসব। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি কর্মসূচি তৈরি করব। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি চবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, দেশে প্রায় ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার আছে। এগুলোতে আশানুরূপ গবেষণা হয় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেশে প্রায় ১ হাজার বই রয়েছে। সবগুলো প্রায় একই। নতুন কিছু নেই। গবেষণা হচ্ছে না। এ পদে দায়িত্ব নেওয়ায় সকলে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আশা করি সকলের আশার প্রতিদান দিতে পারব। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমরা গত একবছর ধরে যোগ্য একজন গবেষক খুঁজছিলাম। যা অনেকেই জানতেন না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পেরেছি। ড. মুনতাসীর মামুন বাংলাদেশের শিক্ষা গবেষণা ও বঙ্গবন্ধুর সাথে জড়িয়ে আছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ করছেন। তাকে আমরা বঙ্গবন্ধু চেয়ারের পদে চেয়েছিলাম। তিনি তা গ্রহণ করেছেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার এর নির্বাহী কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ও বাংলা একাডেমির মহাপরিবচালক শামসুজ্জামান খান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একজন যোগ্য লোককে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে নিয়োগ দিয়েছে। তাঁর এ নিয়োগের ফলে চবিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জ্ঞান-গবেষণার ক্ষেত্র আরও সমপ্রসারিত হবে। চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মনিরুল হাসানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন সিনেট সদস্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. গাজী সালেহউদ্দীন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মাইনুল হাসান।
এরপর দুপুর ১টার দিকে চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকসহ ১শ সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সৌজন্যে গ্রন্থটি বিতরণ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটি এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব ও আলোচনা সভার সভাপতি শওকত বাঙালির সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। প্রধান আলোচক ছিলেন ড. মুনতাসীর মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী উপজেলার চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার ও বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি কাতারের সদস্য জিয়াউদ্দিন জিয়া।