গবেষণার (রিসার্চ) আওতায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশের এন্টিবডি টেস্ট হবে। ‘স্যারো প্রিভিল্যান্স অব সার্সকোভ-২ অ্যান্টিবডি ইন আরটি-পিসিআর পজেটিভ পেশেন্ট ইন চট্টগ্রাম’ শীর্ষক গবেষণার আওতায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আগামীকাল থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুমের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন চিকিৎসক এ গবেষণা পরিচালনা করবেন। ‘হসপিটেক এসেনশিয়াল’-এর সহায়তায় এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আর এতে কারিগরি সহায়তা দেবে শিওরসেল। গবেষণা টিমে অন্যান্যদের মাঝে রয়েছেন-ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ হোসেন খান, জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিনের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদি, ডা. অমি দেব, ডা. মহিউদ্দিন ও ডা. মুনতাহিনা রশিদ।
এন্টি বডি টেস্টের মাধ্যমে করোনা আক্রান্তদের শতকরা কত জনের শরীরে এন্টি বডি তৈরি হচ্ছে, তৈরি হলে কতদিন তা কার্যকর থাকছে, আর করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর কী কী জটিলতা দেখা দিচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু বাড়ছে এবং করোনায় দ্বিতীয়বার আক্রান্তের ঝুঁকি কতটা, গবেষণার মাধ্যমে এসব বিষয় তুলে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. আব্দুর রব মাসুম। চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তদের অন্তত ১০ থেকে ১৫ শতাংশের এন্টি বডি টেস্ট করা হবে জানিয়ে ডা. মাসুম বলেন, সম্পূর্ণ দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে এ টেস্ট করা হবে। গবেষণার সময়সীমা ৬ মাস নির্ধারণ করা হলেও তিন মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে।
এদিকে, রোববার দুপুরে এ গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ও জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমরা নাথ।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, নতুন ভাইরাসটি সম্পর্কে আরও ভালো করে জানতে হলে অধিকতর গবেষণার বিকল্প নেই। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা চলছে। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। যত বেশি গবেষণা বাড়বে তত বেশি আমরা এ ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পারব এবং তা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপকারে আসবে।