গবেষণায় স্বীকৃতি

গৌতম কানুনগো | শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

সাহিত্য, সংস্কৃতিইতিহাসঐতিহ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম একাডেমি’, অন্যদিকে, শিল্পসাহিত্য অর্থনীতি সমাজভাবনামূলক পত্রিকার নাম ‘শিল্পশৈলী’। চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত শিল্পশৈলী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেল ৩০ নভেম্বর। এ বছর প্রবন্ধ গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেলেন শিক্ষাবিদ গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাসেম। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবার ড. সুনীতিভূষণ কানুনগো এবং ২০২৩ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণার জন্য ডাঃ মাহফুজুর রহমানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব ও ভাষা বিজ্ঞান বিষয়ে যে সকল মনীষী কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কাসেমের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিমধ্যে তিনি বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে ড. আনোয়ারা আলমের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত এবং শিল্পশৈলী সম্পাদক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক এস.এম. আবদুল আজিজ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার চৌধুরী, কবিগীতিকার জসীমউদ্দিন খান, ছড়াশৈলী সম্পাদক কাসেম আলী রানা, গবেষক ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন, নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, প্রাবন্ধিক রেজাউল করিম স্বপন, কবি শারুদ নিজাম এবং অভিনেতালেখক অশোক বড়ুয়া। গুণী ব্যক্তিত্ব ড. মো: আবুল কাসেমের হাতে নগদ অর্থ, সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন সভাপতি। পুরো মিলনায়তনে ছিল উপচেপড়া ভীড়, অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায়। ড. আনোয়ারা আলম এবং নেছার আহমদ উপস্থিত সকলকে শিল্পশৈলী পত্রিকাটি উপহার হিসেবে প্রদান করেন এবং দর্শকরাও পত্রিকাটি উপহার হিসেবে পেয়ে দারুণ আনন্দিত। সভাপতির ভাষণে ড. আনোয়ারা আলম বলেন, চট্টগ্রাম একাডেমি অনেককে পুরস্কৃত করেছে যা আমাদের আনন্দ দেয়। একজন মানুষের সবচেয়ে ভালো গুণ হচ্ছে তার বিনয়। ড. মোঃ আবুল একজন ভালো মানুষ ও গুণী গবেষক। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সাহিত্যিক রাশেদ রউফ। জয়তু চট্টগ্রাম একাডেমি ও শিল্পশৈলী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভিন্ন মতের হলেও সম্পর্ক ছিন্ন করবেন না
পরবর্তী নিবন্ধমানুষ নামের গল্পগুলো