আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টার প্রযোজিত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার চলচ্চিত্র ‘গুলবাহার’ এর প্রিমিয়ার শো হয়ে গেল গত শুক্রবার সন্ধ্যায়, আলিয়ঁস ফ্রসেজ চট্টগ্রামে। এতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল মোস্তফা, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম দাশ ও সুবীর মহাজন, সংগীতশিল্পী সঞ্জিত আচার্য্য, কল্যাণী ঘোষ, শিমুল শীল এবং আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন হায়দার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের পরিচালক ব্রুনো লাক্রামপ। অনুভূতি প্রকাশ করেন ছবির পরিচালক পংকজ চৌধুরী রনি।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের রানী হিসাবে খ্যাত শিল্পী কল্যাণী ঘোষ বলেন, জীবদ্দশায় আবদুল গফুর হালীর খুব ইচ্ছে ছিল তার ‘গুলবাহার’কে নতুনভাবে নির্মাণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার। নাটকটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, আবদুল গফুর হালী ১৯৭৪ সালে ‘গুলবাহার’ নাটক রচনা করেন। ১৯৭৬ সালের ২৮–৩০ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী নাটকটি মঞ্চস্থ হয় চট্টগ্রাম মুসলিম হলে। নাটকের শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা অঞ্জু ঘোষ ও পংকজ বৈদ্য সুজন। ২০১৬ সালে আবদুল গফুর হালীর প্রয়াণের পর পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক ‘গুলবাহার’কে চলচ্চিত্রে রূপদানের উদ্যোগ নেন। চট্টগ্রামের সংস্কৃতির জন্য এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।‘গুলবাহার’ চলচ্চিত্রের চিত্রায়ন হয়েছে সাতকানিয়ার বাজালিয়ায়, শঙ্খ নদী ও আশেপাশের লোকালয়ে। চলচ্চিত্রের কাহিনী মূলত নদীতীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনচিত্র নিয়ে রচিত। সাম্পানমাঝি সোনা মিয়া ও শঙ্খ–কন্যা গুলবাহারের নিটোল প্রেম, গ্রাম্য মোড়লের শঠতা এবং সর্বোপরি সত্যের জয়, এই হলো ছবির কাহিনী। এতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, সত্যজিৎ ঘোষ, শেখ দীনা, আকবর রেজা, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল, উমেসিং মারমা। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী সন্দীপন, নাবিলা, মহসিন ও নিপা। সংগীত পরিচালনায় কনক রাজভর।
