প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে যে সংকট রয়েছে সেটা আস্থার সংকট। অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের (সংসদ নির্বাচন) চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। গতকাল নির্বাচিত প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নেন ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৫০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে যে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি সেটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে অভিযোগ বা বিতর্কের মাত্রাটা অতিরিক্ত। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের চাপটা এসে আমাদের ওপর পড়েছে। কাজেই আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে এগুলো সত্য হতে পারে। আবার মিথ্যাও হতে পারে, সেদিকে যাচ্ছি না। খবর বাংলানিউজের।
কর্মশালায় সিইসি বলেন, আমরা আগামীতে যে নির্বাচন করতে যাব সেখানে যেন আস্থার সংকট না থাকে। আমরা যারা নির্বাচন পরিচালনা করব, নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা যারা আছেন আরপিও অনুযায়ী দায়িত্বটা ভালোভাবে নেবেন। যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেই বক্তব্যগুলো মনোনিবেশ সহকারে শ্রবণ ও বোঝার চেষ্টা করবেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো প্রশ্নের উদ্রেগ হলে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। দায়িত্বটা কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। ইসি থেকেও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। জানার চেষ্টা করব কে কোথায় কী দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা সে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করব।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন তর্ক ও বিতর্ক হতে পারে। অতীতেও যে হয়নি তা নয়। অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০, ৭০ বছরের ইতিহাসও ঘাটি, ব্রিটিশ আমলে যে নির্বাচন হয়েছে তখন কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে… তবে মাত্রাটা কিছু কম ছিল।
সিইসি বলেন, ক্রেডিবল বলে একটা শব্দ আছে। সব দেশের আইনেও আছে এটা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বলা হয় নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল তখনই হবে যখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতা আনতে পারি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মিডিয়ার কর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রচার করতে পারে। ফ্রি, ফেয়ার একটা কথা বলা হয়। বাজারে যে কথা আছে। আমাদের ওপর, সরকারের ওপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না। আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই, আগামীর নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হবে, একইসঙ্গে স্বচ্ছ হবে। স্বচ্ছতাটা আমরা দেখতে চাইব মিডিয়া এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।