‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’কে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলেও। বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের দলের এখন অনুশীলনের মোক্ষম সময়। কিন্তু চলমান আন্দোলনের কারণে ঠিকমতো অনুশীলন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত রোববার ছাত্রদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন ও অবরোধের কারণে বাংলাদেশ টেস্ট ও ‘এ’ দলের অনুশীলন হয়নি। গতকাল সোমবারও সেই আন্দোলনের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন থেকে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির কারণেও পাকিস্তানগামী জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের অনুশীলন বন্ধ রাখা হয়। জানানো হয়, মুলত, ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্টিং স্টাফদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্বকাপের ছুটি কাটিয়ে সব বিদেশি কোচরা ঢাকায় ফিরেছেন আগেই। ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প আর পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস আগে থেকেই ছিলেন। চট্টগ্রাম পর্বেও জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন ওই দুই ভিনদেশি কোচ। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় এসেছেন হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সঙ্গে এসেছিলেন ট্রেনার নিক লি’ও। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীতে পা রেখেছেন টাইগারদের স্পিন কোচ মোশতাক আহমেদ। এছাড়া গত শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন প্রধান সহকারী কোচ নিক পোথাস। এদিকে সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম ব্যতিত জাতীয় দলের সব ক্রিকেটাররাই দেশে অবস্থান করছেন। এই দুই ক্রিকেটার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি খেলার জন্য কানাডায় আছেন। পেসার শরিফুলের এওসি (ছাড়পত্র) দেওয়া আছে আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত। আর সাকিবের ১২ আগস্ট। নির্ধারিত সময় শেষ হলে তারাও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।