জুলাই–আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার আগামী বিজয় দিবসের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গতকাল শনিবার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণহত্যার যে বিচারকাজ আমরা শুরু করেছি, আমরা আশা করছি সামনের বছর বিজয় দিবসের আগে এ বিচার অন্তত বিচারিক আদালতে সম্পন্ন হবে। আমরা আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে সেলিব্রেশন করব। খবর বিডিনিউজের। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর তার এবং তার দলের অনেক মন্ত্রী–এমপির বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে। ওই আন্দোলনে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। গণহত্যার দুটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল থেকে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ থেমে যাওয়ার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আইন হয়নি। তিনি বলেন, তারা সংবিধান সংশোধন করে বলেছিল রাজনৈতিক দলকেও শাস্তি দেওয়া যাবে। তখন তারা আইনে কোনো বিধান আনে নাই। আমাদের এখান থেকেও যখন দাবি এসেছিল (রাজনৈতিক দলের শাস্তির) তখন আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করেছিলাম। রাজনৈতিক দলকে শাস্তির ব্যাপারে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে অধিকাংশ উপদেষ্টা মতামত দিয়েছেন, তাহলে বিচারটা ডাইভার্ট হয়ে যাবে, তারা বলার সুযোগ পাবে এটা বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয় নাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তাছাড়া দল নিষিদ্ধ করার অন্যান্য আইনে অনেক বিধান রয়েছে; সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনে আইনে রয়েছে, এমনকি স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের মাধ্যমে করা সম্ভব। করতে চাইলে তো অনলাইনেই করা সম্ভব। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আইন রয়েছে সেখানে নতুন করে এটা আনার দরকার নাই। তাই মতামতের ভিত্তিতে এটা বাদ দেওয়া হয়েছে।