কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল নগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির উদোগে আয়েজিত পৃথক সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
নগর বিএনপি : নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম। নগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা বলছেন খেলার কথা। আমরা বলি রাজনীতি আর খেলা এক নয়। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি। খেলা করি না। বিগত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আমরা সেই গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছি। সরকারের শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ সফল করে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। তাই শেখ হাসিনাকে সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। ভোট হতে হবে ব্যালটের মাধ্যমে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যদি এই সরকার নিজ থেকে ক্ষমতা না ছাড়ে তাহলে জনগণ তাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।
এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডব, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো- আওয়ামী সরকারের রাজত্ব কত ভয়ংকর। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা বিগত ১৪ বছরে দেশের রাজনীতিকে নষ্ট করেছে। তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। আজকে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে রয়েছে তাদের চুরি। তারা এমন চুরি করেছে যে, দেশ আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে। আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, ডলার ও রিজার্ভ গিলে খেয়েছে।
যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দলের শ ম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নুর, কাজী শামসুল আলম, জাহিদ মাস্টার, মো. সেকান্দর, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির সোহেল, দিদারুর রহমান লাভু, এড, এফ এ সেলিম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাদেকুর রহমান রিপন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, নাসিম আহম্মেদ, আশরাফ খান, সৈয়দ আবুল বশর, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, এস এম আজাদ, মনজুর কাদের, কামরুল ইসলাম ও ফিরোজ খান।
উত্তর জেলা বিএনপি : দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন। তারা ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও নুর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, আলহাজ্ব ছালাহউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড আবু তাহের, জসিম উদ্দিন শিকদার, আজম খাঁন, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, ইউসুফ নিজামী, আহসানুল কবির তালুকদার রিপন, হাসান মোহাম্মদ জসিম, সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, এজাহার মিয়া, শফিউল আলম চৌধুরী, মো. ছিদ্দিক, সৈয়দ নাছির উদ্দিন, মাওলানা জমির উদ্দিন, মনিরুল আলম জনি, এইচ এম নুরুল হুদা, জাহাঙ্গীর হোসেন, ওহাব কবির চেয়ারম্যান, আনিস আক্তার টিটু, ইশতিয়াক চৌধুরী অভি, শাহজাহান সাহিল, জানে আলম, নুরুল আলম বাবুল, মো. আকবর ও মো. রাকিব।