গানে গানে ফকির আলমগীরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল ফেরদৌস ওয়াহিদের; সেই সত্তরের দশকে বাংলা পপ গানে শ্রোতাদের মাঝে উন্মাদনা ছড়িয়েছিলেন তারা। পাঁচ দশকের বন্ধু ফকির আলমগীরকে হারানোর কষ্ট ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রকাশ করলেন এক বুক শূন্যতা নিয়ে। শুক্রবার রাতে বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে শোকাতুর ফেরদৌস ওয়াহিদ বললেন, ‘সবার সঙ্গে লোকটার বন্ধুসুলভ ভাব ছিল। প্রাণবন্ত একটা মানুষ ছিল। সে আমার বন্ধু ছিল। আর বাংলাদেশের এমন একজন গায়ক ছিল, যাকে আমি বাংলার সংগীতের বাঘ বলি।’ খবর বিডিনিউজের।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘গণসংগীত বলতে যেটা বোঝায়, সেই জায়গায় তেমন কেউ কাজ করেনি, কিন্তু ও করেছে। ওর মৃত্যুতে গণসংগীতের জায়গাটা শূন্য হয়ে গেল। জায়গাটা কেউ ধরে রাখতে পারেনি, আবার চেষ্টাও করেনি। ও একাই চালিয়ে নিয়ে গেছে।’
১৪ জুলাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরদিন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন ৭১ বছর বয়সী ফকির আলমগীর। সে সময় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে যে কষ্ট পেয়েছিলেন, সে কথাও বললেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘ওর মৃত্যুর গুজব উঠল, সেই দিন থেকে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওর শারীরিক অবস্থার আপডেট দেওয়া শুরু করলাম, যাতে মানুষ উল্টাপাল্টা কোনো তথ্য বিশ্বাস না করে। আমি আশা করেছিলাম ওর ফিরবেই। কিন্তু আর ফিরল না।’