ভারতকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু বলে উল্লেখ করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, এই সম্পর্ক রক্ত দিয়ে লেখা। আত্মার এই সম্পর্ক কোনোদিন মলিন হবে না। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যেকোনো দেশের সঙ্গে অন্য কোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পর্কের সঙ্গে মেলে না। গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর জাকির হোসেন রোডে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের বাসভবনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ‘মিডিয়া রিসেপশন’ অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে সত্যিকারের বন্ধু, বিশ্বস্ত প্রতিবেশী এবং ভারতের মূল্যবান অংশীদার। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সদিচ্ছার বিপুল সম্ভার রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘সোনালি অধ্যায়’- সোনালি পর্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
মিডিয়াকে আধুনিক সমাজের ‘আয়না’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় উল্লেখ করে ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া ছাড়া সামাজিক ন্যায়বিচার অকল্পনীয়। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন আন্দোলন, বিপ্লব। তার আদর্শতার চৌম্বক ব্যক্তিত্ব, তার মন্ত্রমুগ্ধকারী বক্তৃতা বিশেষ করে ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ বিশ্বজুড়ে আগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি আরও বলেন, কিউবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, তিনি প্রকৃত হিমালয় দেখেননি তবে তিনি শেখ মুজিবের মধ্যে হিমালয়ের অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন, একজন অসীম সাহস এবং সংকল্পের ব্যক্তিত্ব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অকৃত্রিম। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সহযোগিতার কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। এম এ মালেক, দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামের মানুষের পাশে থাকার যে যাত্রা ষাটের দশকে শুরু করেছিল তার থেকে কোনোদিনই পিছ পা হয়নি বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজউদ্দিন চৌধুরী, সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।
