গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের প্রমাণসহ ব্যাখ্যা প্রদানের বাড়তি সময় চেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী। গতকাল বৃহস্পতিবার আরও সাত কর্মদিবস সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) বরাবর। এর আগে গত ৪ নভেম্বর চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারকে নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামীকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তবে প্রমাণসহ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আরও সাতদিনের সময় চেয়েছেন অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী।
আগামী ২১ নভেম্বর লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করবেন বলে জানান প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী। তিনি বলেন, আমাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক। আমি তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে বক্তব্য দিব। আমি মনে করি যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ সম্বলিত বহু সংবাদ মিডিয়াগুলো গত এক বছরে পরিবেশন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, ছাত্র-শিক্ষকের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা না করে প্রশাসন আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সিন্ডিকেটে শিক্ষক প্রতিনিধিদের পদশূন্য রেখে এক পেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। বিভিন্ন নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ বারবার প্রকাশিত হয়েছে।
হেলাল নিজামী বলেন, উপাচার্য পরিবর্তন আমার লক্ষ্য নয়, উপাচার্যকে আইনের শাসনে দায়বদ্ধ করাই আমার লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থ রক্ষা করতে উপাচার্যকে আইনের শাসনে অভ্যস্ত করতে সহযোগিতা করতে চাই। আইনের শাসনের প্রতি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রতিপক্ষ ভাবলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুখকর হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সুস্পষ্টভাবে সকল মতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসন কাঠামো পরিচালিত হবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দিয়ে সিন্ডিকেট পরিচালিত হচ্ছে, নেই কোনো শিক্ষক নির্বাচিত প্রতিনিধি। এটি সুশাসনের অন্তরায়, এটি আইনের শাসনের অন্তরায়। যা বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য একটি নীলনকশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটি কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য আসন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে ডিনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামী সিন্ডিকেট নির্বাচন নিয়ে কথা তুলেন। এ নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতারের সঙ্গে হেলাল নিজামীর বাগবিতণ্ডা হয়।