চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনে বেদম পিটুনির শিকার হয়েছেন এক যুবক। সিডিএ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গণপূর্ত সচিবের নাম ভাঙিয়ে ওই যুবক নিয়মিত সেখানে গিয়ে বিভিন্ন খবরদারি করেন। যুবকের দাবি, গণপূর্ত সচিবের নির্দেশেই তিনি সিডিএ ভবনে যান।
সিডিএ কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন যে, ইমরান হাসান নামের ওই যুবক গণপূর্ত সচিব সৈয়দ ওয়াসি উদ্দিনের ঘনিষ্টজন পরিচয় দিয়ে একবছর ধরে নিয়মিত তাদের কার্যালয়ে ঘোরাফেরা করেন। সচিবের নির্দেশের কথা বলে কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন কাজের তদারকির পাশাপাশি কৈফিয়তও তলব করেন। মঙ্গলবারও তিনি সেখানে যান। একইভাবে বুধবার সকাল থেকে সিডিএ ভবনে কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে যান ইমরান। তিনি চেয়ারম্যানের দফতরের সামনে গিয়ে কক্ষের বাইরে থেকে ছবি তোলেন। চেয়ারম্যান অফিসে অনুপস্থিত কেন, এমন কথাবার্তা বলেন। বেলা ১২টার দিকে কয়েকজন কর্মকর্তার নাম ধরে তাদের বদলির হুমকি দেন। বিষয়টি জানাজানির পর কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। কয়েকজন কর্মী তাকে তৃতীয় তলায় নিয়ে পিটুনি দেন। প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যান।
সিডিএর ইমারত পরিদর্শক আবদুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ইমরান হাসান আজ (বুধবার) সকাল থেকে ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী ও পরিদর্শকের প্রতিদিনের কাজের অগ্রগতি জানতে চান। দুপুরে আমার কাছে এসে দৈনন্দিন কাজের হিসাব জানতে চান। তখন বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে কয়েকজন কর্মী প্রতিবাদ করেন। পিটুনিতে তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম হয়। ঘটনার পর তিনি নিজে চমেক হাসপাতালে যান এবং সেখান থেকে কোতোয়ালী থানার ওসি এসএম ওবায়দুল হককে ফোন করে তার উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ইমরান হাসান সাংবাদিকদের জানান, ২০–৩০ জন লোক তাকে ঘিরে ধরে মারধর করেন। এতে তার পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
কোতোয়ালী থানার ওসি ওবায়দুল হক জানান, ঘটনার ভিকটিম ইমরান হাসান হাসপাতাল থেকে আমাকে ফোন করেন। আমি থানা থেকে এক অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম হাসপাতালে পাঠাই। তখন তিনি পুলিশকে বলেন যে, আগে সুস্থ হই। দুই–তিনদিন পর থানায় এসে বিস্তারিত জানিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেব। ঘটনার ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি কোতোয়ালী।