নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ ও গণপরিবহন মালিকরা মিলে ভাড়া নির্ধারণ করলেও ভোক্তারা উপকৃত হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা ইচ্চামতো নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে এবং গণপরিবহনগুলো নিজেরা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া আদায় করে সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রর্দশন করছেন। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের বাজার ও গণপরিবহণে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও সমস্যাগুলির সঠিক তথ্য প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের নীতি নির্ধারকদের মাঝে পৌঁছানো দরকার বলে মনে করছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার নগরীর হালিশহরের নয়াবাজার বিশ্বরোড় মোড়ে ক্যাব হালিশহর থানা কর্তৃক আয়োজিত নিত্যপণ্য মূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবি জানান। ক্যাব হালিশহর থানা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ক্যাব হালিশহর থানা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউসুফ সন্দীপি এবং চৌধুরী জসিমুল হকের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, এস এম আজিজ, অজয় মিত্র শংকু, মুহাম্মদ জানে আলম, এবিএম হুমায়ুন কবির, আবদুল্লাহ আদনান, মো. আকবর, শিব্বির আহমদ ওসমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার নিত্যপণ্য মূল্যের বাজার ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। সে কারণে সরকারের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাজার তদারকিতে নেই। আর্ন্তজাতিক বাজারে চাল, সয়াবিন তেল, গ্যাসের দাম কমলেও দেশের বাজারে তার প্রতিফলন নেই। ধান কাটার মৌসুমে চাল, শীতে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহনসহ রপ্তানি পরিবহনে মারাত্মক বিরূপ পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে। সরকারের মাঠ পর্যায়ে নজরদারি না থাকায় নিত্যপণ্য ও গণপরিবহনের ব্যবসায়ীরা নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি করে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। জনগণ এ অবস্থার পরিত্রাণ চায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
