দেশে পুরুষ জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। আধুনিকায়নের এই যুগে নারীরা এখন ঘরে-বাইরে সর্বত্র জয় করছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে কর্মজীবি নারীর সংখ্যা। কিন্তু এই ছুটে চলার অগোচরে রয়ে গেছে নানা বাধা-বিপত্তি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসেও ঘরের বাইরে নারীরা তার গন্তব্যে পৌঁছাতে নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। গণপরিবহনে নারী ভোগান্তি নতুন নয়। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও শোনা যায় গণপরিবহনে নারীদের ভোগান্তির সংবাদ। কর্মজীবী নারীর পাশাপাশি দেশের স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নানান প্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে যাতায়াত করে থাকে। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, দেশে পাবলিক বাসে চলাচলকারী ৪১ শতাংশ নারীই হয়রানির স্বীকার হয়। ৪৮ শতাংশ নারী চালক এবং ভাড়া আদায়কারীর কাছ থেকে অপমানজনক ভাষা শুনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নারীদের গণপরিবহনে যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায় সেক্ষেত্রে দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে নারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। দেশে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সাপেক্ষে নারীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে গণপরিবহন ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার, সেই সাথে গণপরিবহনে নারীদের সিট সংখ্যা বাড়ানো, যাতায়াতের সুবিধার্থে গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে সরকারের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। স্বাধীন বাংলাদেশে ঘরে এবং সর্বত্র প্রতিটি নারী নিরাপদ থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা।
সাগরিকা সুলতানা প্রিয়া
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।