বিএনপির রাজনীতি জনগণের জন্য মন্তব্য করে দলটির কেন্দ্রীয় সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন–বিএনপির রাজনীতি জনগণের সাথে। বিএনপির রাজনীতি জনগণকে সাথে নিয়ে। সুতরাং বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কারণে যেন আমার দেশের জনগণ কষ্ট না পায়। কারণ বিএনপির ক্ষমতার একমাত্র উৎস হচ্ছে এদেশের ১৮ কোটি জনগণ। ১৯৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে গত ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশবিরোধী অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে পরিবারটি জনগণের পাশে থেকে এই সকল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আসছে সেটি হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার।
তিনি গতকাল শনিবার বিকালে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের র্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। র্যালিটি জামিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দান থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ. এম রাশেদ খান। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ।
মীর হেলাল বলেন, হামলা–মামলা, গুম–খুন উপেক্ষা করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল বিএনপির ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করেছে। আগামী দিনেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বেচ্ছাসেবক দল আরও অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে।
নাজিমুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন–সংগ্রাম এবং দুর্যোগ, দুর্বিপাকে কিংবা সংকটে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সবসময়ই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে সুখী সমৃদ্ধ একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুদ্দিন রাশেদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু, রাজীব উদ্দিন আকন্দ, মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, জহিরুল ইসলাম টম, হারুনুর রশিদ, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসান, এন মোহাম্মদ রিমন, আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. ইফতেখার উদ্দিন নিবলু, তাজুল ইসলাম নয়ন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল হাই, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, মো. জাকির হোসেন, মো. মোখলেছুর রহমান, মো. হাসান, মো. রাসেল খাঁন, ইমরান হোসেন চৌধুরী বাবলু, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান শিমুল প্রমুখ।