একটি মহল লোভ ও ব্যক্তিস্বার্থে দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ‘বিশ্বাসের’ ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছেন। গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের এক সভায় তিনি বলেন, ‘এখানে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এ কথা বলেন তাদের ভালো লাগে যখন জরুরি অবস্থার সরকার হয়, সামরিক শাসক আসে, তাদের একটু কদর বাড়ে। খোশামোদি-তোষামোদি করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে… ব্যক্তিস্বার্থের জন্য তারা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়। তবে আমি বিশ্বাস করি, জনগণের শক্তিটাই বড় শক্তি। তাদের বিশ্বাস ও আস্থাটাই বড় শক্তি।’ দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালট বাঙ, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে কে? আওয়ামী লীগ সরকার। আমরা আসার পরে এবং আমাদের দলীয় প্রস্তাবে এগুলো ছিল। খালেদা জিয়া এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে ২০০৬ সালে ভোট করতে চেয়েছিল। এটা কেউ ভুলে যান নাই। ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট করা মানে হল ভোট চুরির চেষ্টা করা। আমার কাছে মনে হয় ওটাই তাদের কাছে গণতন্ত্র। জনগণের ভোট চুরি, অর্থ চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ- এগুলো থাকলেই তাদের কাছে গণতন্ত্র। না হলে গণতন্ত্র খুঁজতে যাবে কেন তারা?’
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কেউ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মেনে নেয় না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছে, মানুষ মেনে নেয়নি। এরপর ২০০১ এ সরকার গঠন করে বিএনপি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছে জনগণ মেনে নেয়নি। সে নির্বাচন বাতিল হয়েছে। বিএনপি, খালেদা জিয়াকে দুই-দুইবার ভোট চুরির অপরাধে সরে যেতে হয়েছে।’
বিএনপি ও জাতীয় পার্টি সামরিক শাসকদের ‘পকেট থেকে তৈরি’ মন্তব্য করে করে তিনি বলেন, ‘যারা মার্শাল ল’ জারি করে সারারাত কারফিউ দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা গণতন্ত্রটা কীভাবে দেয়? আর কীসের গণতন্ত্র দেয়, সেটা বোধগম্য নয়। বাংলাদেশের সকল দলের আমরা যদি চরিত্রগুলো দেখি এবং তার কার্যক্রম দেখি তাহলে একটা জিনিসই প্রতীয়মান হয়, যে পার্টিগুলো মিলিটারি ডিক্টেটরদের পকেট থেকে তৈরি হয়েছে যেমন বিএনপি বা জাতীয় পার্টি; আপনারা দেখবেন সেখানে গণতন্ত্রের চর্চাটা কোথায়।’