বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেছেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধকে একক দাবি করে দেশে হিংস্র ও বিভাজনের রাজনীতি করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার। ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে নিয়েও দেশে বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করলে জনগণ মেনে নিবে না। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ের দলীয় কার্যালয়ে আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট ‘ছাত্র–জনতার বিজয় মিছিল’ সফল করতে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় ইদ্রিস মিয়া আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদল নেতা শহীদ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ আবু সাঈদসহ সারাদেশে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীর প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগ ও অবদানকে স্মরণ করতে আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিজয় মিছিলে দলমত, ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিককে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান ইদ্রিস মিয়া। সভায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য বিজয় মিছিলে লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি অন্যান্য জেলার তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আর কোনো বিজয় মিছিল করার সুযোগ নেই। নির্বাচনে জনগণের ভোটে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হওয়ার পরেই আমরা আবারও বিজয় মিছিল করবো। সে বার্তা আগামী ৬ আগস্টের বিজয় মিছিল থেকেই দেশবাসীর কাছে দিতে হবে।
সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক চেয়ারম্যান, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, রেজাউল করিম নেচার, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির, মাস্টার লোকমান, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসিম উদ্দিন, মো. আজগর, মহসিন চৌধুরী রানা, সালাউদ্দীন সোহেল, ফৌজুল কবির ফজলু, শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।