গণঅধিকার পরিষদে আমিই আহ্বায়ক, নিবন্ধন আমার নামেই হবে : রেজা কিবরিয়া

| বুধবার , ২১ জুন, ২০২৩ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরদের সিদ্ধান্তের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন দলটির আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেছেন, নেতৃত্বে এখনও তিনিই আছেন, আর নেতাকর্মীদের অধিকাংশই রয়েছেন তার সঙ্গে।

আহ্বায়কের পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নুরদের পক্ষ থেকে জানানোর প্রতিক্রিয়ায় রেজা কিবরিয়ার এই বক্তব্য এসেছে। কম্বোডিয়ায় থাকা রেজা কিবরিয়া গতকাল বিকালে ফোনে বলেন, আমিই বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আছি, আহ্বায়ক থাকব। আমার সাথে ৭৫ শতাংশ নেতাকর্মী আছে। সিনিয়ররা আমার সাথে আছেন। খবর বিডিনিউজের।

সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়ে দুই বছর আগে রেজা কিবরিয়াকে আহ্বায়ক এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে সদস্য সচিব করে গণঅধিকার পরিষদ গঠিত হয়েছিল। গতকাল দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রেজাকে সরিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করার সিদ্ধান্ত জানান হয়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, সিনিয়ররা কেউ ওর (নুর) সাথে থাকবে না। সিনিয়র মানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ ওর সাথে থাকবে না। সোমবার কম্বোডিয়ায় যান রেজা কিবরিয়া, ফিরবেন ২৫ জুন।

সফরের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি এখন কম্বোডিয়াতে আছি। আমাকে ফাইন্যান্স মিনিস্টার (কম্বোডিয়া) ডেকেছেন। আমি ওখানে কাজ করতাম। বাজেটের একটা ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছিল, আমার মতামত চাচ্ছিল, সেজন্য এখানে এসেছি।

অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারে অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। সংসদ সদস্য কিবরিয়া বিএনপি আমলে ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে বোমা হামলায় নিহত হন। বাবার রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে গিয়ে রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট করেছিলেন।

নুরের সঙ্গে বিরোধের কারণ ব্যাখ্যা করে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাদের এখানে (গণঅধিকার পরিষদ) গণ্ডগোল হয়েছে মূলত দুইতিনটা বিষয় নিয়ে। একটা হচ্ছে, ইনসাফ কায়েম কমিটির মিটিংয়ে আমি বক্তৃতা দিতে কেন গিয়েছি, এখানে এসে কৈফিয়ত চেয়েছে। আমার উত্তর হলো আমি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে চলার জন্য আসিনি। আমার অভিজ্ঞতা ও আমার বয়স ওর চেয়ে বেশি আর ওর কথায় আমি চলি না, এটা সাফ কথা। আপনারা খেয়াল করবেন, সরকারবিরোধী হলেই আমি আছি। আমি ইসলামিক আন্দোলনের মিটিংয়ে গিয়েছি, বিএনপির মিটিংয়ে গিয়েছি, এবি পার্টির মিটিংয়ে গিয়েছি। আমার কোনোটাতেই আপত্তি নাই। সরকারবিরোধী দলেই আমি আছি।

নুরের আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেন রেজা। তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের সাথে কেন দেখা করেছেন, তার সঠিক জবাব দিতে পারেননি। আপনারা উনাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন ইসরায়েলিদের সাথে দেখা করেছে? তার দুইটা কারণ থাকতে পারে। একটা হলো ইসরায়েলিরা বলেছে যে, রাজনৈতিকভাবে তোমাদের সমর্থন করব, দ্বিতীয় হতে পারে যে তোমাদের টাকা দেব। এগুলোর মধ্যে কোনোটা করেছে। আমি তৃতীয় কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না। কারণ ইসরায়েলিরা একটা জালেম সরকার। তাদের সাথে আমরা অবস্থান নেব কেন? অনুপম বসু বলে একজন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট, তার সাথে কী সম্পর্ক? এটাও প্রশ্ন উঠেছে। এটাতে সে রেগে গেছে এবং আমাকে তখন থেকে বহিষ্কার করার জন্য অস্থির হয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে জনগণের ভোট হবে না : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধগণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্ব থেকে রেজা কিবরিয়াকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা নুরপন্থিদের