জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, লগি–বৈঠা তাণ্ডবের মাধ্যমেই মূলত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে গঠনমূলক পজিটিভ রাজনীতি করার শিক্ষা সবাইকে নিতে হবে। চট্টগ্রামের ইপিজেড, সিলেট ও ঢাকার বিমানবন্দরসহ একাধিক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডগুলো জনগণের উদ্বেগ–উৎকণ্ঠা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতির সংকট মুহুর্তে আওয়ামী রাজনীতির অনুসরণে অন্যের সভা–সমাবেশে হামলার ঘটনা বোদ্ধামহলকে ভাবিয়ে তুলছে। মহানগরীর দেওয়ান বাজারস্থ বাংলাদেশ ইসলামি একাডেমি মিলনায়তনে এক বিশেষ কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইসলামী দলগুলো কুরআন–সুন্নাহর অনুসরণে সে কাজই করে যাচ্ছে আজীবন। বিএনপি বা যে দলের নামেই হোক না কেন কুরআন শিক্ষায় হামলা করে রক্তাক্ত করা চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ। সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে যারাই জনগণের ম্যান্ডেট পাবেন তারাই সরকার পরিচালনা করবেন। জুলাই সনদে স্বাক্ষর জাতীয় সমঝোতার একটি শুভ লক্ষণ। কিন্তু সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোটের মাধ্যমে এটাকে আইনী মর্যাদা দিতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার রোধ করে প্রতিটি ভোট, প্রত্যেক প্রার্থী এবং প্রতিটি দলের মর্যাদা দিতে জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করা ছাড়া বিকল্প নেই। মিঙড পদ্ধতির পিআর সিস্টেম মেনে নিলে প্রার্থী এবং দল দুটিরই মর্যাদা রক্ষিত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, ডা. সিদ্দিকুর রহমান, এস এম লুৎফুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোছাইন, মমতাজুর রহমান, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ফখরে জাহান সিরাজী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।