গঙ্গাফড়িং-এর মতোই এ জীবন

সুলতানা কাজী | শুক্রবার , ৫ মে, ২০২৩ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

প্রশ্ন করলো এক বন্ধু, কাকতাড়ুয়া চিনিস? বললাম, পশুপাখি (কাক) তাড়ানোর কাজে লাঠিতে পাতিল, কাপড় পেঁচিয়ে মানুষের আদলে যেটা ক্ষেতের মাঝখানে রাখা হয়, তাকেই কাকতাড়ুয়া বলে। জানি না, কতোটা সঠিক বলেছি! তবে, স্টুডেন্টদের যেমন বলি, নিজেদের মতো করে বলো! আমিও নিজের মতো করেই উত্তর দিতে চেষ্টা করলাম। আমার বন্ধুর একটাই কথা, কাকতাড়ুয়া পাখিই। কী আর করা!

মানুষই ভুল করে। গঙ্গাফড়িং এর মতোই জীবনটা। আচ্ছা, পশুপাখি কি ভুল করে? জটিল মনে হলেও, পশুপাখি ভুলটুল করে না আসলে। চান্সও নেই এসবের। ভুল করে একবারের জন্যও তো, বাসার সামনের ডাহুক পাখিজোড়া রাতে না ডেকে থাকে না! তারা ভালোবাসা নাকি ঝগড়া করে, এটাই প্রশ্ন হতে পারে। মনও খারাপ হয় নিশ্চয়ই, তাদের। কথা হলো, আমরা প্রত্যেকে ভুলে ভরা কলসি! ভুল করেই শুদ্ধ হতে হয়। তবে, নিজের ভুলকে ভুল বুঝতে পারার ক্যারিশমাটা সবার হয় না! আরেকজনের ভুল আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর মতো, ন্যাক্কারজনক কাজটাকেই ধারণ করি সাবলীলভাবে।

জীবনটাকে সরলতায় যাপন করলে, লোকে বোকা ভাবতে দ্বিধা করে না। মিথ্যে জ্ঞানের ঝাঁপি নিয়ে জ্ঞান দান করাকে মহৎ কাজ ভাবে। আমার কাছে বেশ উপভোগ্য লাগে এসব। জীবন নামক স্কুলের মেধাহীন স্টুডেন্ট ভাবতে ভালোবাসি নিজেকে। জীবন পরীক্ষায় ফেল করেও পাশের আশায় পাঠে মন দিই। ফেল করে পরীক্ষাপরীক্ষা খেলাতে মেতে ওঠি। প্রতিদিন শিখি। অন্তহীন শেখা। আনন্দ বেদনার কাব্যগুলো ভীষণ আলোড়িত করে আমায়। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা, চড়াইউৎরাই! হাইকিং এর মতো ওঠতে ওঠতে পা মচকে পড়ি। কখনো পায়ের চামড়া ছিঁড়ে ফেলি, কখনো বা কেটে রক্ত ঝরে! চলার পথ শুধুই নতুন দিক খোঁজে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ বিমানে নিম্নমানের সেবা
পরবর্তী নিবন্ধহজরত মাওলানা মোহাম্মদ মুস্তাকীম হাশেমী (র.)